কিলিয়ান এমবাপ্পে
সাম্প্রতিক সময়ে দলবদল নিয়ে বেশ আলোচনায় কিলিয়ান এমবাপ্পে। গত কয়েক মৌসুম ধরেই এটি অবশ্য চেনা চিত্র। দলবদল আসলেই এমবাপ্পে পিএসজিতে থাকবেন, নাকি রিয়াল মাদ্রিদে যাবেন, তাই নিয়েই চলে যত আলোচনা। এবারও শীতকালীন দলবদলে চলছে এ ফরোয়ার্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনাকল্পনা। এ মৌসুম শেষেই ফ্রি এজেন্ট হবেন ফরাসি তারকা। তবে তিনি চাইলেই এখনই নিজের দলবদল নিয়ে আলোচনা শুরু করতে পারেন।
রিয়াল নাকি সিদ্ধান্ত জানাতে এমবাপ্পেকে সময়ও বেঁধে দিয়েছে। আর পিএসজিও চায় তাঁকে ধরে রাখতে। এমবাপ্পেকে নিয়ে রিয়াল-পিএসজির নতুন এই ‘সোপ অপেরা’র মধ্যেই এক সাক্ষাৎকারে রিয়াল নিয়ে নিজের মুগ্ধতার কথা বলেছেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
কীভাবে কয়েক বছর আগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর ক্লাবটি পরিদর্শন করতে গিয়ে তাঁর মাথা ঘুরে গিয়েছিল, সে বর্ণনাও তুলে ধরেছেন এ পিএসজি তারকা। ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল ফ্রান্স টু—এর ‘এনভয় স্পেশাল’ প্রোগ্রামে দেওয়া এই সাক্ষাৎকারে নিজের আয় নিয়েও কথা বলেছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফরাসি তারকা। কত আয় করেন, তা না জানলেও যা আয় করেন, সেটা তাঁর প্রাপ্য বলে মনে করেন এমবাপ্পে।
সাক্ষাৎকারে কয়েক বছর আগে রিয়াল ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এমবাপ্পে তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘আমি রিয়াল মাদ্রিদে চার দিন কাটিয়েছিলাম। সে সময় সব মহাতারকাকে দেখেছি। গোটা দলকে অনুশীলন করতে দেখেছি। দেখে আমার মাথা ঘুরে গিয়েছিল। এরপর অবশ্য আমাকে ফিরে যেতে হয়েছিল এবং তিন দিন আমার মায়ের ক্লাসরুম পরিষ্কার করতে হয়েছিল। আমি পৃথিবীর চূড়া থেকে যেন তলায় নেমে আসি।’
সে সময় নিজের মনের ভেতর কী চলছিল, তা এমবাপ্পে তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘সে সময় আমি ভাবছিলাম, কী ভেবে আমার মা আমাকে এখানে (ক্লাসরুমে) নিয়ে এসেছে? আমি সেখানে আরামে ছিলাম, কিন্তু সে (মা) আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে। আপনার বয়স যখন কম থাকবে, আপনি এসব বুঝতে পারবেন না। কিন্তু এই বয়সে এসে আমি বুঝতে পারি। আমি তারকাপুঞ্জ স্পর্শ করেছি এবং তারপর আমাকে পৃথিবীতে ফিরে আসতে হবে।’
রিয়ালের তারকাপুঞ্জ দেখে পৃথিবীতে ফিরে এসে এমবাপ্পে অবশ্য সেখানেই থেমে যাননি। এরপর নিজেও ফুটবল জগতের ঝলমলে তারকাদের একজন হয়েছেন, যাঁকে দলে টানতে সেই রিয়ালই কয়েক মৌসুম ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে। এর মধ্যে ফুটবল পায়ে মাঠের সবুজে রঙিন সব আলপনা এঁকে নিজেদের সম্পদের ভান্ডারও পূর্ণ করেছেন এমবাপ্পে।
ধারণা করা হচ্ছে, এমবাপ্পে বছরে প্রায় ১০ কোটি ৮০ লাখ ইউরো আয় করেন, যা কিনা ফ্রান্সের গড় বেতনের ২১৮০ গুণ বেশি। যদিও নিজের বার্ষিক আয় কত, সেটা এমবাপ্পের নিজেরও জানা নেই বলে মন্তব্য করেছেন। তবে তিনি যা আয় করেছেন, সেটা তাঁর প্রাপ্য বলেও মনে করেন ২৪ বছর বয়সী এই ফুটবলার, ‘সত্যি কথা হচ্ছে, আমি সঠিক জানি না (কত আয়)। আমার বয়স যখন ১২ বছর ছিল, আমিও ভাবতাম ফুটবলে অনেক টাকা। তবে আমি যা আয় করছি, তা আমার প্রাপ্য। আমি কারও থেকে চুরি করিনি। পৃথিবী এভাবেই চলে।’