ads

ডলার বন্ডের সুদহার বাড়ানো হয়েছে


 ইউএস ডলার প্রিমিয়াম ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের সুদহার বাড়ানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।


প্রজ্ঞাপনের তথ্যানুসারে, ইউএস ডলার প্রিমিয়ার বন্ডের সুদহার যেভাবে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে, তা নিম্নরূপ—১ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে প্রথম বছরান্তে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরান্তে ৭ ও তৃতীয় বছরান্তে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। ১ লাখ ১ ডলার থেকে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত প্রথম বছরান্তে ৫ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরান্তে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ও তৃতীয় বছরান্তে ৬ শতাংশ। এরপর ৫ লাখ ১ ডলার থেকে তদূর্ধ্ব বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম বছরান্তে ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরান্তে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ও তৃতীয় বছরান্তে ৫ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করা হয়েছে।

  



ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডের সুদহার হবে এমন—১ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে প্রথম বছরান্তে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরান্তে ৬ শতাংশ ও তৃতীয় বছরান্তে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ সুদ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ১ লাখ ১ ডলার থেকে ৫ লাখ ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে প্রথম বছরান্তে ৪ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরান্তে ৪ দশমিক ৫০ শতাংশ ও তৃতীয় বছরান্তে ৫ শতাংশ সুদ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর ৫ লাখ ডলার থেকে তদূর্ধ্ব বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রথম বছরান্তে ৩ শতাংশ, দ্বিতীয় বছরান্তে ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ও তৃতীয় বছরান্তে ৪ শতাংশ সুদ পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।


প্রজ্ঞাপনে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে, যেমন নতুন স্ল্যাবভিত্তিক মুনাফা প্রদানের ক্ষেত্রে বর্ণিত স্কিম দুটির আগের বিনিয়োগের সঙ্গে একত্র করে মোট বিনিয়োগ নির্ধারণ করা হবে। নতুন স্ল্যাব নির্ধারণের আগে ইস্যুকৃত সঞ্চয় স্কিম দুটির মুনাফার হার ক্রয়কাল হারে প্রযোজ্য হবে; বর্ণিত স্কিম দুটির বিনিয়োগের পরিমাণ অন্যান্য সঞ্চয় স্কিম থেকে আলাদা হিসাবায়ন হবে এবং স্কিম দুটির লেনদেনসংক্রান্ত সব রিপোর্ট-রিটার্ন মার্কিন ডলারের পাশাপাশি বাংলাদেশি মুদ্রায় পাওয়ার ব্যবস্থা থাকবে।


একসময় প্রবাসী বন্ডে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা ছিল না। তবে ২০২০ সালের ৩ ডিসেম্বর এক নির্দেশনার মাধ্যমে তিন ধরনের বন্ড মিলে সমন্বিত বিনিয়োগের সীমা নির্ধারণ করা হয় এক কোটি টাকা। পরে গত বছর সব ধরনের বন্ডে সুদহার কমানো হয়, যদিও একই নির্দেশনায় ইউএস ডলার প্রিমিয়াম ও ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ডে বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা প্রত্যাহার করা হয়। তবে সুদহার বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় কম ছিল বলে এসব বন্ড বিক্রি কমে গিয়েছিল। এরপর আজ রোববার তা আবার বাড়ানো হলো।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.