ট্রাম্পের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বিবেক রামস্বামী প্রার্থিতার দৌড় থেকে সরে যাওয়ার পর আরকানস এর সাবেক গভর্নর এসা হাটচিনসনও সরে দাঁড়িয়েছেন।
ছবি: রয়টার্স।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থিতার লড়াই এখন আইওয়া থেকে সরে গেছে নিউ হ্যাম্পশায়ারে। আগামী মঙ্গলবার সেখানে হবে রাজ্য প্রাইমারি। প্রার্থীরা একে একে হ্যাম্পশায়ারে গিয়ে প্রচার শুরু করছেন।
আইওয়া ককাসে জিতে ট্রাম্প এরই মধ্যে সামনের সারিতে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন। তার পরের অবস্থানে আছেন রন ডিস্যান্টিস এবং তৃতীয় অবস্থানে আছেন নিকি হ্যালি।
হ্যালি এরই মধ্যে হ্যাম্পশায়ারে প্রচার শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন, ট্রাম্প এলেই কেবল তিনি পরবর্তী বিতর্কে অংশ নেবেন। তবে ট্রাম্প এখনও হ্যাম্পশায়ারে পৌঁছননি।
মানহানির দ্বিতীয় একটি মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে তিনি নিউ ইয়র্কের আদালতে গেছেন। এরপর তিনি নিউ হ্যাম্পশায়ারের পথে রওনা হবেন।
ট্রাম্পের অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে বিবেক রামস্বামী এরই মধ্যে প্রার্থিতার দৌড় থেকে সরে গিয়ে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন।
এরপর প্রার্থিতার দৌড় থেকে সরে গেছেন আরেকজনও। তিনি হচ্ছেন, আরকানস এর সাবেক গভর্নর এসা হাটচিনসন। যথেষ্ট সমর্থন না পাওয়ায় তিনি সরে গেছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স। সোমবার আইওয়া ককাসে তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৮ শতাংশ ভোট।
আইওয়ায় ভোটারদের অর্ধেক ভোটই গেছে ট্রাম্পের ঝুলিতে। এডিসনের তথ্য অনুযায়ী, প্রত্যাশিত ভোটের প্রায় ৯০ শতাংশ পড়ার পর ট্রাম্পে পক্ষে ছিল ৫০ দশমিক ৯ শতাংশ ভোট, ডিস্যান্টিসের পক্ষে ২১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং হ্যালির পক্ষে ১৯ শতাংশ।
নিকি হ্যালি অবশ্য নিউ হ্যাম্পশায়ারে যাওয়ার আগেই বলেছিলেন, আইওয়ার ভোটের ফল ‘শুধরে দিতে পারে’ নিউ হ্যাম্পশায়ারের ভোটাররা।
তার সেই কথারই প্রতিফলন এরই মধ্যে জরিপে দেখা যাচ্ছে সেখানে। হ্যাম্পশায়ারের জরিপে ট্রাম্পের পর দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন হ্যালি। আর সমর্থনের দিক থেকে অনেক পেছনে পড়ে আছেন ডিস্যান্টিস।
রিপাবলিকান দলের প্রার্থিতার দৌড়ে যিনিই জিতুন, নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন ডেমোক্র্যাটের সঙ্গে লড়তে হবে তাকে। আর সেই ডেমোক্র্যাট যে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হবেন তা প্রায় নিশ্চিত।